টনসিলকী? কারন, লক্ষনওতারহোমিওপ্যাথিকচিকিৎসা
টনসিল এক ধরনের লসিকাগ্রন্থি বা লিম্ফয়েড টিস্যু। এতে কোনো ধরনের ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে আমরা এটাকে টনসিলাইটিস বলি। মানবদেহে গলার ভেতরে দুপাশে একজোড়া প্যালাটিন টনসিল থাকে, টনসিলের প্রদাহ বলতে আমরা এর ইনফেকশনকেই বুঝে থাকি। টনসিল ইনফেকশন ছোট বড় সবারই হতে পারে। তবে সাধারনতঃ তিন থেকে বার বছরের শিশুদের মধ্যে বেশী দেখা যায়।
টনসিলের কারন
ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস জনিত ইনফেকশন টনসিল প্রদাহের প্রধান কারন। ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে প্রধানত বিটা হেমোলাইটিক স্ট্রেপ্টোকক্কাস দিয়ে হয়। এ ইনফেকশনের অন্য কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বারবার ঠান্ডা সর্দি লাগা, পুষ্টিহীনতা, পরিবেশ দূষণ, দেহে অপর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা; অতিরিক্ত ঠান্ডা পানীয়ে আসক্তি ও আবহাওয়ার পরিবর্তন।
টনসিলের লক্ষন সমূহ
❏ টনসিলে গলাব্যথা এবং সঙ্গে খাবার গিলতে সমস্যা হতে পারে এবং শরীরে ক্লান্তি ভাব থাকে।
❏ এ ক্ষেত্রে গলাব্যথার সঙ্গে জ্বর ১০২-১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। সঙ্গে খাবার গ্রহণে অরুচি এবং বমির ভাব থাকতে পারে।
❏ গলার সঙ্গে কানের সম্পর্ক রয়েছে। তাই টনসিলের ইনফেকশনে কানে ব্যথা থাকবে এবং গায়ে ব্যথা হতে পারে।
❏ শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখা যায়।
❏ অনেক সময় মারাত্মক ইনফেকশনে মুখ খুলতে অসুবিধা হতে পারে।
টনসিলাইটিসের জটিলতা
❏ টনসিলে ফোড়া (abscess)।
❏ টনসিলের চারপাশে ইনফেকশন ছড়িয়ে যেতে পারে।
❏ কানে ইনফেকশন হতে পারে।
❏ বাতজ্বর (rheumatic fever) হতে পারে
❏ শ্বাসনালী ফুলে যেতে পারে। এমনকি শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
❏ জীবানু রক্তে ছড়িয়ে যেতে পারে।
❏ রক্তের মাধ্যমে জীবানু কিডনীতে ছড়িয়ে গেলে সেখানেও ইনফেকশন হতে পারে।
টনসিলআক্রান্তরোগিরঘরোয়া প্রতিকার–
* তরল ও গরম খাবার খাওয়া উচিত।
*দাত ও মুখ প্রতিবার খাবার খাওয়ার পড়ে পরিস্কার করতে হবে।
* কান ঢেকে গরম রাখা উচিত।
* জ্বর হলে প্যারাসিটামল জাতিয় ঔষুধ খেতে হবে।
* ভিটামিন সি বেশি খেতে হবে।
* বেশি করে লবন পানি দিয়ে গড়গড়া করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
* সর্দি-কাশির জন্য হিষ্টাসিন জাতিয় ঔষুধ খাওয়া যেতে পারে।
হোমিওপ্যাথিকচিকিৎসা(homeopathic treatment) :
হোমিওপ্যাথি একটি সদৃশ লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি।