সারাবিশ্বে এ্যালোপ্যাথির পরেই দ্বিতীয় প্রধান এবং অল্টারনেটিভ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে হোমিওপ্যাথি। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিটি জার্মান বিজ্ঞানী ডাঃ স্যামুয়েল হ্যানিম্যান কর্তৃক ১৭৯৬ সালে আবিষ্কৃত হয়। এটি বিগত ২৩০ বছর ধরে মানবসেবায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে আসছে। কিন্তু এর জন্মলগ্ন থেকেই এটি নানা প্রতিকুলতা ও ভ্রান্তির বেড়াজালে আবদ্ধ হয়ে আছে।
হোমিওপ্যাথি নিয়ে অনেকেই বিভিন্ন সমালোচনা করে থাকেন যে, এটি ধীরে কাজ করে, জটিল রোগে ব্যর্থ, প্লাসিবো ইফেক্ট, এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই ইত্যাদি। কিন্তু আমরা যারা সমালোচক তারা বেশিরভাগই গবেষণা বা সঠিক ধারণা না নিয়েই হোমিওপ্যাথির ওপর বিষেদগার প্রকাশ করি।
আমি জানি না, মানি না বা মানবো না তাই বলে ব্যাপারটি যে সত্য ও ফলপ্রসূ নয় এমনটি ধারণা করা নিছক বোকার স্বর্গে বসবাস করারই নামান্তর নয়কি? যে ব্যবস্থাটি বিগত ২৩০ বছর ধরে মানবসেবায় নিয়োজিত আছে সেটি যে অবৈজ্ঞানিক এমনটি ধারণা করা কি ঠিক? ফল না থাকলে কিভাবে মানুষ ফল ভোগ করছে এবং কিভাবে সেটি এখনও টিকে আছে পৃথিবীর বুকে?
হোমিওপ্যথি নিয়ে সবচেয়ে প্রচলিত ধারণা এটি ধীরে কাজ করে। এটি নিয়ে অনেকেই একটা কথা বলে থাকেন “যার নাই কোনো গতি সে খায় হোমিওপ্যাথি”।
এই ধারণা থেকে বোঝা যায় মানুষ কখন হোমিওপ্যাথির কাছে যায়। একটা রোগী যখন সব চিকিৎসা শেষ করে আর কোনো উপায় খুঁজে পায় না, যখন সে স্টেরয়েড, এন্টিবায়েটিক ইত্যাদি খেয়ে নিজের রোগটি আর রোগের পর্যায়ে রাখে না, যখন সে নিজেই একটা মেডিসিনাল রোগে পরিণত হয় তখনই হোমিওপ্যাথ খোঁজে। কিন্তু এমতাবস্থায় হোমিওপ্যাথির তেমন কি বা করার থাকে। তবু অনেক ক্ষেত্রেই সফলতার সাথে এসব জটিলরোগীকে চিকিৎসা দিয়ে আসছে।
কিন্তু এই রোগীরাই যদি রোগের প্রারম্ভে হোমিওপ্যাথির শরণাপন্ন হতেন তাহলে রোগটি অল্প সময়ে তুলনামূলক কম খরচে ভালো হয়ে যেত। বিভিন্ন রকম জটিল সমস্যা যা প্রচলিত চিকিৎসায় সার্জারি করতে হয় অথবা সারাজীবন ওষুধ খেতে হয় যেমনঃ টনসিলাইটিস, পলিপাস, বিভিন্ন ধরনের টিউমার এমনকি ব্রেন টিউমার, লিম্ফোমা, একজিমা, সোরিয়াসিস, এ্যাজমা, অষ্টিওআর্থাইটিস, হাড় বৃদ্ধি, হাড় ক্ষয় যাওয়া, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, বাতজ্বর, হার্ট, কিডনি, লিভারের জটিল সমস্যা ইত্যাদি। সে ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথরা যদি কয়েকবছরেও রোগীকে সুস্থ করতে সক্ষম হয় সেটিকে কি বেশি সময় লাগে বলা হবে? নাকি বলা হবে হোমিওপ্যাথি ধীরে কাজ করে? যেখানে প্রচলিত চিকিৎসাই ব্যর্থ।
সম্প্রতি বাংলাদেশে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিসার্চে বের হয়েছে, এখন বাংলাদেশের ৪০ ভাগ মানুষ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা গ্রহণ করেন। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণার ফল আমেরিকার একটি মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে আমেরিকাতেই ১৫% হোমিওপ্যাথির ব্যবহার বেড়েছে। সম্প্রতি সুইচ গভর্নমেন্ট তাদের দেশে ১৫০০০ কোয়ালিফাইড হোমিওপ্যাথকে সরকারিভাবে তাদের স্বাস্থ্যখাতে অন্তর্ভূক্ত করেছে। এই উদ্যোগকে সুইজারল্যান্ডের জনগণ চিকিৎসার বিপ্লব হিসাবে দেখছে। এছাড়া আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইতালি, বেলজিয়াম, আয়ার্ল্যান্ড, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, আফ্রিকাসহ বিশ্বের ৪৩ টি দেশে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক রয়েছে এবং এসব দেশে প্রচুর পরিমাণে মানুষ হোমিওপ্যাথির উপর নির্ভর করছে। আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে ১০০টির উপরে মেডিক্যাল কলেজ এবং ২৪৬৭৭২ জন্য কোয়ালিফাইড রেজিস্টার্ড হোমিওপ্যাথ রয়েছেন। আমেরিকা-ব্রিটেনেও উন্নত মানের মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে। সেখানে উচ্চতর ডিগ্রিধারী চিকিৎসকগণ চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছে। এখনও ব্রিটেনের রানির ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসাবে একজন হোমিওপ্যাথ রয়েছেন। সম্প্রতি ভারতের একটি রিসার্চে বের হয়েছে সেদেশে ৫৫% মানুষ হোমিওপ্যাথির দিকে অগ্রসর হয়েছে।
২০০১ সালে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলেছে, ৪৩টি দেশে হোমিওপ্যাথি ব্যবহৃত হচ্ছে। ব্রিটিশ জার্নাল ও টাইমস অব লন্ডন জার্নালে যথাক্রমে প্রকাশিত হয়েছে ব্রিটেনে ৪২% ও ৪৮% চিকিৎসকরা জটিল রোগে ও অপারেশনের বিকল্প হিসাবে হোমিওপ্যাথির কাছে রোগী রেফার করে।
ফ্রান্সে একটি গবেষণায় বের হয়েছে সেখানে ১১০০০ এর বেশি হোমিওপ্যাথ রয়েছে এবং ২৫% লোক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করছে। এছাড়া সারা বিশ্বে ২০০০০ এর মতো ফার্মাসিউটিক্যালস হোমিওপ্যাথি মেডিসিন উৎপাদন করছে।
যেখানে উন্নত বিশ্বের প্রভাবশালী দেশগুলো হোমিওপ্যাথি ব্যবহার করছে এবং এর ব্যহারের হার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে সেখানে আমাদের কি হয়েছে? আমরা কি ভ্রান্তির মধ্যেই থাকবো? কোন জিনিসের ইফিকেসি না থাকলে সেটি কিভাবে ২৩০ বছর ধরে চলে আসছে?
কেন হোমিওপ্যাথি?
হোমিওপ্যাথি ওষুধ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত, সাশ্রয়ী এবং জটিল রোগে এন্টিবায়োটিক ও অপারেশনের বিকল্প হিসাবে কাজ করে থাকে। মা ও শিশুদের জন্য সহজে ব্যবহার উপযোগী ও জটিলতামুক্ত। বর্তমানে বিশ্বে দুইটি কারণে মানুষ চিকিৎসায় বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একটি এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার আরেকটি অপারেশন। মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটি অব ভিয়েনার প্রফেসর ডাঃ মাইকেল ফ্রাস-এর মতে ‘হোমিওপ্যাথি একমাত্র এন্টিবায়োটিকের বিকল্প এবং পাশ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত কারণ এটি দেহের প্রধান অঙ্গগুলিকে আক্রমণ না করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যেখানে এন্টিবায়োটিক জীবনীশক্তিকে দূর্বল করে’।
এছাড়া সম্প্রতি অষ্ট্রেলিয়ার একটি রিসার্চে বলা হয়েছে, ফুসফুসের ইনফেকশনজনিত রোগে এন্টিবায়োটিকের চেয়ে দ্রুত আরোগ্য করতে পারে হোমিওপ্যাথি ওষুধ। তারা ৪টি দেশের ৫০০ জন রোগীর ওপর এই পরীক্ষা চালিয়েছেন।
যে সকল রোগ সার্জারি করতে হয় সে সব রোগে বিকল্প হিসাবে হোমিওপ্যাথি ব্যবহার হয়ে থাকে। ফিস্টুলা, পাইলস, টনসিলাইটিস, এপেন্ডিসাইটিস (গ্যাংগ্রিনাস ব্যতিত), বিভিন্ন রকম টিউমার, সিস্ট, ব্রেষ্ট টিউমার, ব্রেন টিউমার, আঁচিল, হাড় বৃদ্ধি ইত্যাদি ক্ষেত্রে অপারেশনের অল্টারনেটিভ হিসাবে হোমিওপ্যাথির সফলতা প্রশংসনীয়। তবে ডায়াগনোসিসের মাধ্যমে অবশ্যই রোগের গতিবিধি, বিস্তৃতি ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে।
এছাড়া শিশুদের কমন কোল্ড, কফ, জ্বর, বমি, এ্যাজমা, এ্যালার্জী, ডায়রিয়া, আমাশয়, এডিনয়েড, হাম, জলবসন্ত, মাম্পস, ব্রঙ্খাইটিস, হাইড্রোসেফালাস, মানসিক খর্বতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে অল্প সময়ে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন চিকিৎসা সম্ভব।
সাইকোসোমাটিক রোগেও যেমন মাইগ্রেন, এ্যাজমা, এসিটিডি, পেপটিক আলসার, এ্যালার্জী, মানসিক রোগেও সফলতার সহিত হোমিওপ্যাথি কাজ করে যাচ্ছে।
তবে হোমিওপ্যাথরা অনেক রোগেই গড়পড়তা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন যেটা দুঃখজনক। কারণ চিকিৎসক হিসাবে প্রথমে বোঝা উচিত তার কোন রোগ চিকিৎসা করবো আর কোনটা করবো না। কোন রোগটি ভালো হতে পারে এবং কোনটি সার্জারি করতে হবে। এখানেই হোমিওপ্যাথদের ব্যর্থতা পরিলক্ষিত হয়। এর জন্য দায়ী কিছু হোমিওপ্যাথ, কিন্তু হোমিওপ্যাথি নয়। হোমিওপ্যাথিতেই জটিল ও কঠিন রোগ আরোগ্য সম্ভব। সেটি প্রমাণের জন্য নিজেই কোনো ভালো হোমিওপ্যাথের শরণাপন্ন হউন। হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানতে কোয়ালিফাইড কোন হোমিওপ্যাথির পরামর্শ গ্রহণ করুন তাহলে ভ্রান্তি থাকবে না। নিজেও উপকৃত হবেন, জাতিও দেখবে চিকিৎসার নতুন দিগন্ত। তবে হোমিওপ্যাথি তখনি আরো একধাপ অগ্রসর হবে যেদিন বিজ্ঞান ন্যানোটেকনোলজিতে প্রবেশ করবে। সেদিনের জন্যই অপেক্ষা করছি!
হোমিওপ্যাথিক রেমেডিস কীভাবে আমাদের দেহে কাজ করে? এই প্রশ্নটা বহুদিনের। উত্তরের সঙ্গে সদৃশ নীতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে। প্রথমে আমাদের জানা দরকার
জীবনী শক্তির কাজ
মানব দেহে সংঘটিত সব কাজের ক্ষমতার উৎস হলো জীবনী শক্তি । জৈবদেহ জীবনী শক্তির ক্ষমতাবলে ভাইটাল ফোর্স প্রয়োগ করে নিদিষ্ট নিয়মকানুন বা সূত্র অনুসারে সুস্থ, অসুস্থ ও আরোগ্যের সময় যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করে। (তথ্য : ডা. সামুয়েল হ্যানেমান-অর্গানন অব মেডিসিন ৬ষ্ঠ সংস্করণ, অনুচ্ছেদ ৯-১৫)
কীভাবে কাজ করে?
মৃত্যুঞ্জয়ী চিকিৎসা বিজ্ঞানী হোমিওপ্যাথিক আবিষ্কারক ডা. সামুয়েল হ্যানিম্যান বলেছেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধ স্নায়ুর মাধ্যমে কাজ করে। ওষুধ যাতে বেশিসংখ্যক স্নায়ুকে স্পর্শ করে ভালোভাবে কাজ করতে পারে, এ জন্য ওষুধের একটা অনুবটিকাকে পানিতে দ্রবীভূত করে প্রয়োগ করতে হবে। জিহ্বা, মুখ ও পাকস্থলির স্নায়ুগুলো সহজেই ওষুধের ক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে। নাকে ও শ্বাসযন্ত্র দিয়ে ঘ্রাণ এবং মুখ দিয়ে আঘ্রাণ নিলেই সংশ্লিষ্ট আবরণীর ওপরের স্নায়ু এ কাজে সাহায্য করতে পারে, বিশেষত একই ওষুধ যদি মর্দনের সঙ্গে সঙ্গে অভ্যন্তরীণভাবেও প্রয়োগ করা হয়।
ওষুধের কাজ
চিকিৎসা বিজ্ঞানী ডা. হ্যানিম্যান তার বিশ্বখ্যাত অর্গানন অব মেডিসিন পুস্তকে উল্লেখ করেছেন, হোমিওপ্যাথিক ওষুধের কাজ দুই ধরনের (১) রোগ সৃষ্টি করা ও (২) রোগ আরোগ্য করা। তিনি তার নিজের ও ৫০ জন সহকর্মীর সুস্থ দেহে প্রায় ১০০টি ওষুধ স্থূলমাত্রায় বার বার প্রয়োগ করে পরীক্ষণ করেন। তখন এসব ওষুধের লক্ষণ তাদের ওপর প্রকাশ পায়। লক্ষণগুলো সংগ্রহ করে হোমিওপ্যাথিক মেটিরিয়া মেডিকায় এবং রেপার্টারি গ্রন্থে লিখে রাখেন। যাতে চিকিৎসার সময় এগুলো ব্যবহার করা যায়।
রোগ সৃষ্টিকারী
এসব পরীক্ষার সময় ওষুধ সেবনের ফলে ওষুধ মুখ গহ্বরের ¯স্নায়ুকে স্পর্শ করে এর অনুভূতিতে মস্তিকে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে এর ক্রিয়ার অনুভূতি মন ও দেহে ওষুধগুলোর নির্দিষ্ট ক্রিয়াক্ষেত্রে পৌঁছে যায় এবং শরীর ও মনে ওষুধের নিজ নিজ লক্ষণ প্রকাশ করে। এ ক্ষেত্রে সুস্থদেহ জীবনী শক্তির ক্ষমতাবলে জীবনীবল প্রয়োগ করে জীবনী সূত্র মোতাবেক এ কাজ সম্পন্ন করে।
পরবর্তী সময়ে গবেষকরা তার পরীক্ষণ করা অনেক ওষুধ দ্বিও-অদ্ধ পদ্ধতিতে পরীক্ষণ করে এর বৈজ্ঞানিক ভিত্তির প্রমাণ পান।
রোগ আরোগ্য করা
অপরদিকে রোগী চিকিৎসার সময় হ্যানিম্যান রোগীর রোগ লক্ষণের সদৃশ লক্ষণ সম্পন্ন ওষুধ সূক্ষ মাত্রায় প্রয়োগ করে রোগীকে আরোগ্যর পদ্ধতি আবিষ্কার করেন। ১৭৯৬ সালে আবিষ্কৃত তার এ চিকিৎসা পদ্ধতির নাম হোমিওপ্যাথি । তিনি আরো প্রমাণ করেন যেকোনো ওষুধ সুস্থ মানুষের ওপর যে রোগ লক্ষণ সৃষ্টি করে তা সৃদশ লক্ষণের রোগীকে আরোগ্য করতে পারে। অর্থাৎ ওষুধের রোগ সৃষ্টিকারী ক্ষমতার মাধ্যমেই এর রোগ আরোগ্যকারী ক্ষমতা নিহিত। একইভাবে অন্য এক গবেষণায় ৪০ জন মাথা ঘোরা রোগীর ওপর গবেষক ক্লোজেন, বার্গম্যান ও বাটিলি এ রোগীদের লক্ষণানুসারে ককুলাস, কোনিয়াম ও পেট্টোশিয়াম ওষুধ দিয়ে পরীক্ষা করে সফল হন।
উপসংহার
অতএব, ডা. হ্যানিম্যান ও তার পরবর্তী গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে হোমিওপ্যাথি ওষুধ ¯স্নায়ুর মাধ্যমে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে জীবনীশক্তি জীবের সব ক্ষমতার উৎস এটা উপলব্ধি করে হোমিওপ্যাথিকে চিকিৎসাক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গভাবে যতই ব্যবহার করা যাবে জনস্বাস্থ্যের ততই উন্নতি হবে।
তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ : গুগল, উইকিপেডিয়া, বিভিন্ন হোমিওপ্যাথিক ওয়েবসাইট।